অভাবের কশাঘাতে জর্জরিত নিরক্ষর সেই মানুষটার নাম আলমগীর হোসেন। ১৮ বছর অন্যের হোটেলে কাজ করে তিনি কালোজাম, চমচম, রাজভোগ, রসমালাই, বালিশ মিষ্টি, দই তৈরিতে অসামান্য দক্ষতা অর্জন করেছেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য—আলমগীর ভাইয়ের হাতের ছোঁয়া পেলে মিষ্টি হয়ে ওঠে শিল্পকর্ম।
আলমগীর হোসেন এতটাই দরিদ্র, নিজের পৈতৃক পুরনো বাড়িটি বসবাসের অনুপোযুক্ত হয়ে পড়লে সেটা আর মেরামত করতে পারেননি। বর্তমানে তিনি বাস করছেন যশোর কেশবপুরের বেলকাটির গুচ্ছগ্রামে।
তিনি যখন অন্যের হোটেলে কাজ করতেন, স্বপ্ন দেখতেন, একদিন তার নিজের একটি হোটেল হবে। নিজের হাতের মিষ্টান্ন বিক্রির মাধ্যমে সংসারে সচ্ছলতা আসবে আর অর্জিত হবে ক্রেতাদের আস্থা, ভালোবাসা ও মুগ্ধতা।
অবশেষে সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে আলমগীর হোসেনের। আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের দক্ষতাভিত্তিক উদ্যোক্তা তৈরি প্রকল্পে আলমগীর হোসেনকে প্রস্তুত করে দেয়া হয়েছে একটি কমপ্লিট হোটেল। অর্থাৎ হোটেলঘর, শোকেস, চেয়ার-টেবিল সহ মিষ্টি তৈরির যাবতীয় সরঞ্জাম ও কাঁচামাল। ছবিতে যার অধিকাংশই দৃশ্যমান।
এতে খরচ হয়েছে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা।
এক ছেলে এক মেয়ে এবং স্বামী-স্ত্রী মিলে আলমগীর হোসেনের পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৪। অভাবের কারণে ছেলের পড়াশোনা হয়নি। ছেলে এখন দিনমজুরের কাজ করে।
আমরা আলমগীর হোসেনকে নিয়ে আশাবাদী। আমাদের সহায়তা এবং মিষ্টি তৈরিতে তার অসামান্য দক্ষতার সমন্বয়ে অসহায় এই পরিবারটি শিগগিরই সুদিনের মুখ দেখবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
উল্লেখ্য, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন দক্ষতাভিত্তিক উদ্যোক্তা তৈরি প্রকল্প যাকাতের অর্থে পরিচালিত হচ্ছে। এমন অসংখ্য দক্ষ অথচ অসহায় আলমগীর হোসেনের দিন বদলের সঙ্গী হতে আপনার যাকাতের একটা অংশ আমাদেরকে অর্পণ করতে পারেন।